দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মূল প্রবেশদ্বার ০২ (দুই) জেটি; ০১ গোরকঘাটা জেটি, ০২ আদিনাথ জেটি। গোরকঘাটা জেটিটি ১৯৮৬সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত হয়। মূলত এই জেটিটি নির্মানের পর হতে জেলা শহর কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ অনেক সহজতর হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোরকঘাটা জেটি উদ্ভোধন করেন। উভয় জেটি দিয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ মহেশখালী তথা মহেশখালীর বিশ্বখ্যাত আদিনাথ মন্দির দেখতে আসে। এই ০২ টি জেটি দিয়ে স্পীডবোট এবং ইঞ্জিন বোটের মাধ্যমে মহেশখালীবাসী জেলা শহর কক্সবাজারে যাতায়াত করে। আদিনাথ জেটি ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মাণ করে।
মহেশখালীর অন্যতম আকর্ষণ আদিনাথ জেটি। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম জেটি। আদিনাথ মন্দিরের পাদদেশ হতে শুরু হয়ে মহেশখালী চ্যানেলে গিয়ে পড়েছে এই সুদীর্ঘ জেটি। পিছনে শ্যামল মৈনাক পাহাড়, অন্যদিকে নোনাজলের সমূদ্র, দুপাশে ঘন নিবিড় প্যারাবন জেটিটিকে এক অপূর্ব নৈসর্গিক মহিমায় উদ্ভাসিত করেছে। সোলার লাইটের মিষ্টি আলোয় জেটিটির সৌর্ন্দয্য রাতের বেলায় পর্যটক মনকে আকৃষ্ট করে। জ্যোৎস্না রাতে জেটিতে বসে মেঘ ও চাঁদের লুকোচুরি খেলা দেখতে দেখতে যে কোন মানুষের মনে কবিতার জন্ম নেবে। নিচে জেটিটির সংক্ষিপ্ত তথ্য সন্নিবেশ করা হলোঃ-
জেটির দৈর্ঘ্যঃ ৬৯৯.৬০ মিটার
জেটির প্রস্থঃ ৩.৬০ মিটার (ভিতরে হতে ভিতর) ৪.১০ মিঃ (Out to out)
চুক্তি মূল্য গ্যাংওয়েঃ টাকা ১,২৩,০৭,৫৪৫.৮২
এপ্রোচ গ্যাংওয়ে, প্লাটফরম ও প্রট্রেকশন ওর্য়াকঃ টাকা ৩,০৬,১০,৫০২.৪১
এক্সটেনশন গ্যাংওয়েঃ টাকা ১,৯০,৫৫,৪১৮.০৪
মোট পাইলের সংখ্যাঃ ৩১১টি
পাইলের দৈর্ঘ্যঃ ১৭ মিঃ হইতে ৩০মিঃ পর্যন্ত ।
সিঁড়ির সংখ্যাঃ ৬টি
প্লাটফরমের আয়তনঃ দৈর্ঘ্য ২৬.০০ মিঃ, প্রস্থ ১৪.০০ মিঃ = ৩৬৪.০০ বর্গ মিঃ
সোলার লাইটের সংখ্যাঃ ১৪টি
ফেন্ডা পাইলের সংখ্যাঃ ১৯টি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস